ভোটার লিস্ট
face="solaimanlipi, Arial, sans-serif" style="background-color: white;"> বা ভোটার তালিকা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন সময় ভোটার লিস্ট বা ভোটার তালিকা আমাদের প্রয়োজন পড়ে থাকে, সেটা আমাদের আর অজানা নয়।তারপরেও আজকে আমি আপনাদেরকে 2022 সালের নতুন নিয়মে অনলাইন থেকেই কিভাবে ভোটার লিস্ট বের করা যাবে, সে বিষয় সহকারে,আরো কিছু বিষয় আপনাদেরকে জানাবো তা হচ্ছে -চূড়ান্ত ভোটার তালিকা, ছবিসহ ভোটার তালিকা ডাউনলোড pdf,ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার তালিকা, নতুন ভোটার তালিকা এছাড়াও আজকের এই পোস্ট থেকে আপনি ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
একটি নির্বাচনী এলাকা যেমন- ইউনিয়ন /পৌরসভা এবং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা এই ভোটার লিস্টে লিপিবদ্ধ থাকে। তাই ভোটার লিস্টের প্রধান প্রয়োজন পরে নির্বাচনের তারিখ বা দিন।
নির্বাচনের দিন বা তারিখেই ভোটার লিস্ট কেন প্রয়োজন পড়ে? তার কারণ হচ্ছে ঐদিন এলাকায় যারা ভোটার রয়েছে তারা ভোটার লিস্টের আওতায় থেকে ভোট প্রদান করে । ভোট প্রদান করার পূর্বে ভোটার লিস্টে নাম ও ভোটার নাম্বার চেক করা হয়।
চলুন জেনে নিই, কিভাবে ভোটার আইডি বা ভোটার তালিকা বের করা যাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত এবং ডাউনলোড করা যাবে কিভাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বের করার নিয়ম
প্রথমেই বলে রাখি, ভোটার লিস্ট বের করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তাদের তথ্য দিয়ে আপনাকে এই ভোটার লিস্ট বের করার যে সিডি ড্রাইভ রয়েছে, উক্ত সিডি ড্রাইভ আপনার পিডিএফ আকারে নিতে হবে।
মোটকথা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পর, আপনাকে নির্বাচন অফিস থেকে একটি সিডি ডিস্ক দিবে, সেই সিডি ডিক্সের মধ্যেই আপনার ভোটার লিস্টের নাম সমূহ এবং ভোটার নাম্বার সমূহ সংরক্ষিত করা রয়েছে একটি পিডিএফ ফাইল।
আপনাকে সেই সিডি ডিক্স থেকে সেই পিডিএফ ফাইলটি কোন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
আপনি চাইলে এটি বাজারের যেকোন কম্পিউটারের দোকান থেকেও করে নিতে পারবেন। তবে আপনার পার্সোনাল কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে করলে আপনার জন্য ভালো হবে।
তবে জেনে রাখা ভালো, এই ভোটার লিস্ট তালিকাটি সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। কারণ এটি শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রার্থী যারা তারাই সংগ্রহ করতে পারবে।
যাহারা এই ভোটার লিস্ট তালিকা সংগ্রহ করতে পারবে, তারা হচ্ছেন- মেম্বার /কাউন্সিলর এবং মহিলা মেম্বার অথবা চেয়ারম্যান অর্থাৎ নির্বাচন করার জন্য যারা প্রার্থী থাকবেন, শুধুমাত্র তারাই এই ভোটার লিস্ট এর সিডি ড্রাইভ টি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নিতে পারবে।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, এই সিডি ড্রাইভ অর্থাৎ ভোটার লিস্ট বের করার যে সিডি ডিভাইসটি রয়েছে। এটি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে নিতেকি? কোন পরিমাণ ফি জমা বা এ বাবদ কোন ফি প্রদান করতে হয় কিনা?
এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে জি হ্যাঁ। অবশ্যই আপনাকে উপজেলা নির্বাচন অফিসকে একটি ফি প্রদান করতে হবে, যার পরিমাণ 500 টাকা।
এই সিডি ড্রাইভে যে সকল ডকুমেন্টস পাবেন। তা হচ্ছে, পুরুষ সদস্য প্রার্থী হয়ে থাকলে আপনি নির্ধারিত ওয়ার্ডে পিডিএফ মহিলা ও পুরুষ ভোটারের জন্য পাবেন। এবং মহিলা সদস্য প্রার্থী হলে, আপনি তিনটি ওয়ার্ডের পিডিএফ মহিলা ও পুরুষ ভোটারের তালিকা পাবেন। এবং আপনি যদি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি সব ওয়ার্ডের ভোটার লিস্টের পিডিএফ মহিলা ও পুরুষ ভোটার লিস্ট পেয়ে যাবেন।
এই সিডি ড্রাইভে যে সকল ডকুমেন্টস পাবেন। তা হচ্ছে, পুরুষ সদস্য প্রার্থী হয়ে থাকলে আপনি নির্ধারিত ওয়ার্ডে পিডিএফ মহিলা ও পুরুষ ভোটারের জন্য পাবেন। এবং মহিলা সদস্য প্রার্থী হলে, আপনি তিনটি ওয়ার্ডের পিডিএফ মহিলা ও পুরুষ ভোটারের তালিকা পাবেন। এবং আপনি যদি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি সব ওয়ার্ডের ভোটার লিস্টের পিডিএফ মহিলা ও পুরুষ ভোটার লিস্ট পেয়ে যাবেন।
ছবিসহ ভোটার তালিকা ডাউনলোড পিডিএফ
ছবিসহ ভোটার তালিকা লিস্ট কিভাবে আপনি পিডিএফ ফাইলটি অনলাইনের মাধ্যমে ডাউনলোড করবেন, সে বিষয়ে আমি আপনাদেরকে কিলিয়ার করছি-
সত্যি কথা বলতে এখনো ছবিসহ অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার লিস্ট ডাউনলোড করার কোন সিস্টেম বাংলাদেশ উপজেলা নির্বাচন কমিশন চালু করে নাই।
তবে আপনি চাইলে কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদ তাদের নিজস্ব সার্ভারে তাদের হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা আপলোড দিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে সেখান থেকে আপনার ভোটার তালিকা ডাউনলোড করে ফেলতে পারেন।
কিন্তু বলে রাখা ভাল সব এলাকার ভিত্তিতে নাও হতে পারে প্রত্যেক ইউনিয়ন বা পৌরসভা পার্সোনাল ওয়েবসাইট বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন থেকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আর সেখান থেকে অল্প কয়েকটা ইউনিয়নের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে।
গুগল নিউজে SS IT BARI সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন
মোটকথা ভোটার তালিকার লিস্ট যেহেতু সবার জন্য উন্মুক্ত নয় এই জন্য আপনারা এটি উন্মুক্ত সবার জন্য অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার সিস্টেমটি সরকার এখনও চালু করে নাই।
এর পরেও আপনি আমার দেওয়া এই লিংক থেকে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে আপনি সহজেই আপনার ভোটার তালিকাটি যদি আপনার ইউনিয়ন লিস্ট এই ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ থাকে। তাহলে আপনি ভোটার তালিকার পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন।
নতুন ভোটার তালিকা এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার তালিকা লিস্ট
সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা আপনি সিডি ডিক্স এ পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার সংরক্ষিত সিডিতে সর্বশেষ আপডেট কৃত ভোটার লিস্ট না থেকে থাকে, তাহলে আপনি অতিসত্বর আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।
কারণ ভোটার লিস্ট হালনাগাদ না থাকলে আপনার নির্বাচনী এলাকার কতজন ভোটার বেড়েছে, কতজন ভোটার কমেছে তা বুঝতে পারবেন না। হতে পারে আপনার প্রত্যাশিত সম্ভাবনা ভোটারের নাম পুরনো ভোটার লিস্টে নেই। এক্ষেত্রে একটি ভোটার হারাতে পারেন। তাই নতুন ভোটার তালিকা সংগ্রহ করে নিবেন।
আশা করছি উপরোক্ত বর্ণনা থেকে আপনার ভোটার লিস্ট বের করার নিয়ম সম্পর্কে পরিষ্কার আপনাদেরকে ধারণা দিতে পেরেছি এবং ভোটার তালিকা ডাউনলোড সম্পর্কেও আপনাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি এখন আপনারা জানবেন ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে অনলাইন থেকে এবং সরাসরিভাবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি নেওয়ার জন্য বা হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি আবেদন করতে হবে।এখানে দেখুন
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য দুই ভাবে আবেদন করা যায়। আমি আপনাদেরকে দুইভাবেই আবেদন করার নিয়ম নিচে আলোচনা করছি।
প্রথম নিয়ম– সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দুই নাম্বার নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করতে হবে । এরপর ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের সাথে পিনাপ করে অফিসে জমা দিতে হবে এবং প্রতিটি দুই নাম্বার নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরমের একটি করে ইউনিক নাম্বার থাকে, যার মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্যাদি যাচাই করা যায়।
অনলাইনে নিজের পাসপোর্ট চেক করার সহজ নিয়ম
তাই ভোটার নিবন্ধন ফরম টি ফটোকপি করে একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করা যাবে না বা কোন ফটোকপির দোকান থেকে এই ফরম সংগ্রহ করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আবেদন করার পর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার আপনার আবেদনটি যাচাই করে সকল তথ্য এবং সংযুক্তি কাগজপত্র সঠিক পেলেই শুধুমাত্র নতুন ভোটার করার অনুমোদন দেবে।
দ্বিতীয় নিয়ম– অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করা যায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে। অনলাইনের মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রবেশ করার পর, তাদের প্রয়োজনমতো ইনফরমেশন দিয়ে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে ।
আপনি দুই নাম্বার নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম প্রিন্ট আউট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সাথে পিনাপ করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন অফিস রেজিস্ট্রেশন অফিসার আবেদনকৃত কাগজপত্র যাচাই করে সকল তথ্য সঠিক পেলে নতুন ভোটারের অনুমোদন দেবে।বিস্থারিথত
0 Comments